নারী শিক্ষায় বেগম রোকেয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।

রংপুর সদরে শিক্ষা বিস্তারে যে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তারমধ্যে বেগম রোকেয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অন্যতম। ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়টি বর্তমানে হাঁটি হাঁটি পা পা করে ৩৩ বছরে পা দিয়েছে। বর্তমানে এ নারী বিদ্যা নিকেতনটির ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ৬ শত। নিয়মিত ১৮ জন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে থাকেন। তবে কেজি ওয়ান থেকে ৫ম শ্রেণী প্রযর্ন্ত ছাত্র ছাত্রী উভয় ক্লাস করেন। কেন না ছাত্রীদের পাশাপাশি ছাত্রদের পড়াশুনা সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।স্কুল সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা বলেন, এ অঞ্চলের ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্যে এ বিদ্যালয়টি বিগত ৩৩ বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

পড়াশোনা, খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চায় আমাদের ছাত্রীরা অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় এ স্কুলের ফলাফলও সন্তোষজনক।ফ্রেন্ডস সোসাইটি’র সম্মানিত সদস্য বৃন্দের অবদানে বেগম রোকেয়া প্রতিষ্টিত হয়েছিল।• আব্দুল হাফিজ খাঁন লোপচু• আতিয়ার রহমান চৌধুরী মনতু• আনসার হোসেন• আরিফ কামাল বিন মজিদ আলো• মুকুল মোস্তাফিজুর রহমান• মোস্তফা কামাল• নাসির আনোয়ার কাবির• লুৎফর রহমান• রবীন্দ্র প্রসাদ বাবলু• সৌয়দ মো: আব্দুলাহ্ বাবু• সৌয়দ আসাদুজ্জামান লালু• হাসিমুজ্জামান চৌধুরী হিমুস্কুলসূত্রে জানা যায়, এ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় ২০১৫ সালে ৯৬.৪৮ ভাগ, ২০১৬ সালে ৯১ ভাগ ও ২০১৭ সালে ৯০.৭ ভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। অন্যদিকে এসএসসি পরীক্ষায় ২০১৫ সালে ৮৯ ভাগ, ২০১৬ সালে ৯০ ভাগ ও ২০১৭ সালে ৯৬.৭ ভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। আগামীতে আরো ভালো ফলাফল অর্জনের জন্যে কাজ বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়।

স্কুলের সহ-পাঠক্রমিক কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বিনতে হুসাইন নাজনীন বানু শোভা, সহকারী শিক্ষক সুকুমার দেব রায় জানান, পড়াশোনা করার পাশাপাশি মেধা বিকাশের জন্যে স্কুলে বিভিন্ন সহ-পাঠক্রমিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। প্রতি বৃহস্পতিবার সহ-পাঠক্রমিক কার্যক্রমের উপর ঘণ্টাব্যাপী ক্লাস নেয়া হয়। খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা এবং জেলার বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় আমাদের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে থাকে। মাদক-ইভটিজিং ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে স্কুলের পক্ষ থেকে র‌্যালী করা হয়। স্কাউটে মেয়েরা অনেক এগিয়েছে। স্কুলে যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় দিবসগুলো পালন করা হয় বলে তারা জানান।স্কুল ঘুরে দেখা যায়, স্কুলটির পশ্চিম ও দক্ষিণ পূর্ব পাশে বাউন্ডারি ও দালান কোঁটা। স্কুলের তিন শিক্ষার্থী মোছা: জান্নাতুল জেয়াসনীম জিসা, শাহানুন আক্তার ও শারমিন আখতার সিনথিয়া বলে, আমাদের সাথে শিক্ষকরা খুব সুন্দর ব্যবহার করে ও নিয়মিত পাঠদান করায় এবং আমরা সকলে নিয়মিত স্কুলে যাই।

কথা হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিনতে হুসাইন নাজনীন বানু শোভা সাথে। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে গড়ে ওঠে। তাদেরকে যথাযথ পাঠদানের প্রতি আমাদের শিক্ষকরা বিশেষ দৃষ্টি রাখেন। খেলাধুলাও এ স্কুলটি এগিয়ে আছে। অভিভাবকরাও আন্তরিকতার পরিচয় দিচ্ছেন। আমাদের কিছু সমস্যা রয়েছে। সেসব সমস্যা সমাধানে আমরা কাজ করছি।তিনি বলেন, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে আমরা ক্লাস নিয়ে থাকি। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক সবার প্রচেষ্টায় স্কুলটি এগিয়ে যাবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।